পার্থ চট্টোপাধ‍্যায় হোঁদল " বেলাগাম আক্রমন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর

31st January 2020 বাঁকুড়া
পার্থ চট্টোপাধ‍্যায় হোঁদল


 তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণাত্মক বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে 'হোঁদল' বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। শুক্রবার পাত্রয়ারের হলুদবনিতে সিএএ -র সমর্থণে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাম্প্রতিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কটুক্তি করেছেন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'আপনার চেহারা তো হোঁদলের মতো'। এমনকি 'মেয়ের বয়সী' বান্ধবীদের শান্তিনিকেতনে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরী দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ায় যেখানেই সভা করবেন, বিজেপি সেই জায়গায় সভা করে তার দ্বিগুণ জমায়েত করবে বলেও তিনি দাবী করেন। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আত্মবিশ্বাসের সূরে বলেন, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১২ টি আসনই বিজেপি জিতবে, এমনকি চলতি বছরের বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পৌরসভা তারাই দখল করবেন। একারণেই তৃণমূল নেতা কর্মীদের দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের অপেক্ষায় আছি, আপনারা আমাদের সাথে যোগ দিন।জনসভা শেষেও নিজের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন এই বিজেপি সাংসদ। ফের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে 'হোঁদল' বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও 'মেয়ের বয়সী বান্ধবী'দের চাকরী দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। পারলে উনি আইনের পথেও যেতে পারেন বলে দাবী করেন তিনি। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছে শাসক তৃণমূল দলের পাত্রসায়র ব্লক যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, প্রশাসন এখনো মরে যায়নি। প্রশাসন আছে বলেই বিজেপি এখনো প্রকাশ্যে সভা করতে পারছে। শিক্ষামন্ত্রীকে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ 'হোঁদল' বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরণের কথাবার্তা বলা বিজেপি এখন অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছে। শিক্ষা দীক্ষার অভাব আছে বলেই এই ধরণের কথা বার্তা তারা বলছেন। বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে এই ধরণের কথা ছাড়া এর বেশী কিছু প্রত্যাশিত নয় বলেই তিনি দাবী করেন।

         ছবি - দেবব্রত মন্ডল





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।